র্অথ সংকটে বন্ধ হাবপ্রিবরি প্রধান ফটকরে রাস্তার কাজ

র্অথ সংকটে বন্ধ হাবপ্রিবরি প্রধান ফটকরে রাস্তার কাজ

আজিজুর রহমান,হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ


২০১৯ সালে পহেলা ডিসেম্বরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দৃষ্টিনন্দন প্রধান ফটকের উদ্বোধন করা হয়।এর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখা হতে প্রধান ফটক পর্যন্ত রাস্তার কাজ শুরু হলেও অর্থ সংকট এবং অবহেলায় বন্ধ রয়েছে রাস্তাটির কাজ।


এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য,পরিবেশের ক্ষতি সহ যাতায়াতের সমস্যার পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।এমনই অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক এক শিক্ষার্থী বলনে, ক্যাম্পাস বন্ধের সময়েই কাজ শুরু করেছিল।কিন্তু পরীক্ষার জন্য এসে দেখি ছোট একটি রাস্তার কাজ এখনো শেষ করতে পারেনি।রাস্তার একদিকে বালি,ইটের খোয়া এবং রাস্তায় এখনো বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েগেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবিহণ,নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ভারী পরিবহন সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে।এতে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে।


সরজমিনে দেখা যায়, প্রবেশদ্বার খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। এখানেই রয়েগেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১(কৃষি অনুষদ), জিমনেসিয়াম, প্রকৌশল শাখা, রূপালী ব্যাংক(এটিএম),বোটানিক্যাল গার্ডেন,রিমা চত্বর,বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সাথে সংযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক রাস্তার সাথে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের গাড়ী সহ প্রধান ফটক রাস্তা দিয়ে বাস, ট্রাক, ইজিবাইক, পিক-আপ ভ্যান,ভারী পরিবহনসহ অন্তত ৪-৫ ধরনের যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে।
তবে প্রধান ফটক রাস্তার অর্ধেক অংশেই বালি, ইটের খোয়া এবং রাস্তার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুটি এখনো রয়ে গেছে।এতে রাস্তাটি দিন দিন ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ তরিকুল ইসলাম রাস্তার কাজ বন্ধের ব্যাপারে বলেন,অর্থ সংকটে রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করতে না পারায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তার কাজ বন্ধ করেছে। তবে গতকাল সভায় সিদ্ধান্তক্রমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আগামী ১মাসের মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ করবে।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্ল্যানিং, ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়ার্কস বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নিদিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।আশা করা হচ্ছে অতিদ্রুত রাস্তার কাজ শেষ হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন